বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতা কীভাবে ধরে রাখবে সেই চিন্তাতেই ব্যস্ত রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর প্রশাসন একদম নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।
পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় মোটিফ নির্মাণকারী চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের গ্রামের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমরা আগেই বলেছি ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের অর্থনৈতিক পতন হয়নি। পলাতক স্বৈরাচারের দোসররাই এই কাজটা করেছে। ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত থাবা বিস্তার করার জন্য মাঝে মাঝেই তারা উঁকি দিচ্ছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এই ঘটনা তার উদাহরণ। এদের কোনো মানবতাবোধ নেই। এরা শুধু ক্ষমতার আরাধনা করতো, তা করতে গিয়ে জনগণের সম্পদ লুট করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার কষ্ট লাগে- এখন যে সরকার আছে তারা নির্বিকার। তারা ক্ষমতা কীভাবে ধরে রাখবে সেই চিন্তাতেই ব্যস্ত আছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন একদম নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। তাদের মধ্যে ন্যূনতম আন্তরিকতা ও উদ্যোগ নেই বলেই আজকের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ফ্যাসিবাসের দোসরদের দমন করা, তাদের আইনের আওতায় আনা- এই সরকারের প্রধান কাজ। সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে বার বার গণতন্ত্রকামী মানুষরা হামলার শিকার হচ্ছে। প্রশাসনের অনেককে বদলি করা হয়েছে, তারা সেখানে গিয়ে শেখ হাসিনার পারপাস সার্ভ করছে। এসব করলে হবে না। প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এসবে কর্ণপাত করেনি বলে মানবেন্দ্র ঘোষের মতো শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীর উপর তারা আঘাত করেছে এবং তার গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।