সারাদেশ

খালে ভাসছিল দিনমজুর যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ

খালে ভাসছিল দিনমজুর যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ


মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় সালাউদ্দিন (৩৫) নামে এক দিনমজুর যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দেয়।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বর্ণি ইউনিয়নের বর্ণির চক (দৌঁড়েরবাজার) এলাকার রাইতখালী খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সালাউদ্দিন বারোহাল গ্রামের কমর উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল চারটার দিকে রাইতখালী খালে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা সেটিকে বারোহাল গ্রামের দিনমজুর সালাউদ্দিন হিসেবে শনাক্ত করেন ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের মামাতো ভাই তোফায়েল আহমদ লায়েক জানান, সালাউদ্দিন সাধারণত রাতে দেরিতে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি ঘর থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি। শনিবার বিকেলে রাইতখালী খালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, সালাউদ্দিন খুবই শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। তার কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না। আমরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরে জানতে পারি, খাল থেকে সালাউদ্দিন নামের এক দিনমজুরের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, এটাই এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।

পার্শ্ববর্তী ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ আলী বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। আমাদের ধারণা, কেউ তাকে হত্যার করে লাশ খালে ফেলে গেছে। লাশটি ভেসে ভেসে এখানে এসেছে।

বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন কালবেলাকে বলেন, খাল থেকে এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধারের খবর আমি পেয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক একটি ঘটনা। আমি বর্তমানে জরুরি কাজে এলাকার বাইরে রয়েছি, তাই সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারিনি। এ বিষয়ে বড়লেখা থানা পুলিশের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।

এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ওসি তদন্ত শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, এক দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত মিলেছে। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে ফেলে গেছে বলে ধারণা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ পাইনি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।