সিলেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে ম্যাচ দারুণ এক অবস্থানে দাঁড়িয়ে। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের ৮২ রানের লিড কমিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৭ রান তুলে ফেলেছে ১ উইকেট হারিয়ে। ফলে এখনো ২৫ রানে পিছিয়ে থাকলেও হাতে রয়েছে ৯টি মূল্যবান উইকেট।
৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস বাংলাদেশের শুরুটা কিছুটা ধাক্কা খেলেও (শাদমান ইসলাম ৪ রান করে আউট), মাহমুদুল হাসান জয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে পথ দেখাচ্ছে। তিনি ২৮ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। তার সঙ্গী মমিনুল হক ১৫ রানে অপরাজিত। মজার ব্যাপার হলো, ৬ রানে থাকা অবস্থায় মাহমুদুলের ক্যাচ মিস করেন ফিল্ডাররা, এরপর থেকেই তিনি অনেকটা আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেছেন।
এর আগে দিনের শুরুতে মিরপুরের টাইগার স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ দারুণ বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন। তার স্পিন ঘূর্ণিতে গুঁড়িয়ে যায় জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার। যদিও সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা অসতর্কতা ও বাজে শট নির্বাচন তাদের বড় লিড নেওয়ার স্বপ্ন ভেঙে দেয়। মিরাজের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২০.২ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ৫ উইকেট। এছাড়া নাহিদ রানা ৩ উইকেট ও খালেদ আহমেদ ১ উইকেট দখল করেন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্রায়ান বেনেট ৫৭, শন উইলিয়ামস ৫৯ এবং উইকেটরক্ষক মায়াভো করেন ৩৫ রান। শেষদিকে মুজারাবানির ১৭ এবং নগারাভার ২৮ রানের ইনিংস দলের স্কোরকে ২৭৩ পর্যন্ত নিয়ে যায়।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে মমিনুল হকের ৫৬ এবং অধিনায়ক শান্তর ৪০ রান ছাড়া বড় ইনিংস দেখা যায়নি। বল হাতে মুজারাবানি ৩টি, মাসাকাদজা ৩টি এবং নিয়াউচি ২টি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বোলার মুজারাবানি বেশ ধারালো বোলিং করলেও ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না। নিয়াউচি ও নগারাভা নতুন বলে বেশি সুবিধা করতে পারেননি।
তৃতীয় দিনের শুরুটা হতে পারে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর গুরুত্বপূর্ণ সময়। পিচে এখনো বোলারদের জন্য কিছুটা সহায়তা রয়েছে। বাংলাদেশ যদি দ্রুত কিছু রান যোগ করতে পারে ও উইকেট ধরে রাখতে পারে, তবে ম্যাচে দারুণ লড়াই জমে উঠবে।