নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাসা থেকে তুলে নিয়ে শান্ত সরকার নামে এক যুবদল কর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনার ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের একজন আবিদ হাসানকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। নিহত যুবদলকর্মী শান্ত উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হিড়নাল মাঝিপাড়া এলাকার জসিম সরকারের ছেলে।
নিহতের চাচা ও মামলার বাদী সালাউদ্দিন সরকার বলেন, পূর্বাচলে মাটি কেনা-বেচা ও হোটেলের ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে আমার ভাতিজা শান্ত সরকারের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের সঙ্গে। পরে আসাদ ফকির, নাঈম ফকির, রানা ফকির, বিল্লালের ছেলে রোকনউদ্দিন, মামুন, সিয়াম মোল্লা, পলখানের বাছির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আকন্দ, কালনীর নয়ন সরকার, বাদল শিকদার, আতাউর, কাজী জয়নালসহ আরও ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে শান্ত সরকারের বাইক পুড়িয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ এপ্রিল বিকেলে শান্তকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। এ সময় এলাকাবাসী ও পুলিশ এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শান্তকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। পরে তাকে রাজধানীর এভার কেয়ারে ভর্তি রাখা হয়। সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্ত মারা যায়।
সালাউদ্দিন সরকার বলেন, শান্তকে গুরুতর আহত করার পর থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করায় আসামিরা পালিয়ে যায়। এতে বিচারহীনতায় ভুগছি আমরা।
দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, নিহত শান্ত যুবদল কর্মী কিনা আমার জানা নেই। জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত আসাদ ফকিরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, এ ঘটনায় নিহতের চাচা সালাউদ্দিন সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।