ফেনীর সোনাগাজীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আবুল হাসেম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোরে সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের ওলামাবাজার সংলগ্ন ইসলামপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল হাসেম (৫৫) সোনাগাজী উপজেলার পশ্চিম চর দরবেশ গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে। নিহত আবুল হাসেম সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ওরফে গিয়াস চেয়ারম্যানের সহযোগী ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসেম দীর্ঘদিন ধরে সোনাগাজী পৌরসভার ইসলাম মুহুরি রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রতিদিন খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে সোনাগাজীর বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতেন৷ মঙ্গলবার ভোরে তিনি গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে ওলামাবাজার ইসলামপুর এলাকায় পৌঁছলে বোরকা ও মুখোশ পরা এক ব্যক্তি তার গতিরোধ করে।
এ সময় আরও কয়েকজন ব্যক্তি তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠান। ঢাকা নেওয়ার পথে চৌদ্দগ্রাম পৌঁছলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
এলাকাবাসীর ধারণা, নিহত আবুল হাসেমের সঙ্গে প্রতিবেশী বেলালের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ ছিল। দুবছর আগে দুপক্ষের মারামারিতে বেলালকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন আবুল হাসেম। সে ঘটনার জেরে আবুল হাসেমকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
চরচান্দিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম হোসেন বলেন, আবুল হাসেম বিএনপির কর্মী ছিলেন। তার হত্যার ঘটনায় আটক রাসেল সম্প্রতি ফেসবুকে আবুল হাসেমকে উদ্দেশ্য করে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. বায়েজিদ আকন বলেন, আবুল হাসেমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাসেল নামের এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে তার ওপর হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। কারা কারা জড়িত আছে এ নিয়ে তদন্ত চলছে। ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।