চাঁদপুরের হাইমচরে গৃহবধূ ফাতেমাকে (৩৯) শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে দেবর রিপন গাজীকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড ও শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম গাজী এবং শাশুড়ি শাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।
হত্যার শিকার গৃহবধূ ফাতেমা প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার গোরাকান্দাইল এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন জেলার হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়ার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গাজীর ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি সিরাজুল ইসলাম মৃত হাশেম গাজীর ছেলে এবং শাহানারা বেগম সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার শাশুড়ির সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে গলায় চেপে ধরে সে। ওই সময় আসামি শ্বশুর ও দেবর ফাতেমার পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলে গৃহবধূ ফাতেমার মৃত্যু হয়।
পরে লাশ বাড়ির পুকুরে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন তারা। পরদিন ১৬ অক্টোবর সকালে বাড়ির লোকজন দেখলে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। একই দিন ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু কালবেলাকে বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় দেন। আসামির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল রানী শীল।