কুড়িগ্রামে কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। তবে কাজের সন্ধানে বের হওয়া মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে। অন্যদিকে জেলার সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ। জেলায় আরও দুদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি গবেষণাগারের তথ্য মতে, কুড়িগ্রামে দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৫০ শতাংশ। আগামী আরও দুদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে।
কুড়িগ্রাম পৌরশহরের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবু দারদা হেলাল জানান, ঈদের দিন থেকে প্রচুর গরমে কাহিল হয়ে পড়েছি। আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা দিলেও বৃষ্টি নেই। গরমে কাজকর্ম করতে সমস্যা হচ্ছে। কী করব। ফ্যানের বাতাসেও কাজ হচ্ছে না।
সদর হাসপাতালের রোগী স্বজন মাহবুব রহমান বলেন, প্রচুর গরম। হঠাৎ আমার মেয়ের ডায়রিয়া দেখা দেয়। এখনো হাসপাতালে আছি। কিছুটা সুস্থ হয়েছে।
ওষুধ ব্যবসায়ী বাবু জানান, গরমে স্যালাইন বিক্রি বেড়েছে। পাশাপাশি জ্বর ও সর্দি-কাশির ওষুধের চাহিদা বেড়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা কালবেলাকে বলেন, গরমে মানুষজনের সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগকে জরুরি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, কিশোর ও শিশুদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজনীয়তার প্রতি দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাই।