সারাদেশ

এমবিবিএস সনদ ছাড়াই ‘ডাক্তার’ পরিচয়ে প্রশিক্ষণ দেন মনি

এমবিবিএস সনদ ছাড়াই ‘ডাক্তার’ পরিচয়ে প্রশিক্ষণ দেন মনি


যশোরের মনিরামপুরে একের পর এক অবৈধ চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সন্ধান মিলছে। ‘আপো হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’-এর পর এবার রাজগঞ্জ বাজারে গড়ে উঠেছে আরও একটি অবৈধ মিনি মেডিকেল কলেজ। নাম সুপারস্টার মেডিকেল অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় কেশবপুরে হলেও শাখা চালানো হচ্ছে মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে। যদিও সম্প্রতি কেশবপুর উপজেলার প্রধান কার্যালয়টিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ নেওয়াজ অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করেন।

প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন ডিএম মনিরুজ্জামান মনি নামে এক কথিত গ্রাম ডাক্তার। যিনি ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করলেও এমবিবিএস ডিগ্রির কোনো সনদ নেই। তিনি নিজেই শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিচ্ছেন, যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল শুধু প্রফেশনাল এমবিবিএস চিকিৎসকদের।

অভিযোগ উঠেছে, রাজগঞ্জ বাজারে প্রতিষ্ঠানটি ‘ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি’, ‘ডিপ্লোমা ইন নার্সিং’, ‘ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট’, ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার’, ‘ডেন্টাল কেয়ার’, ‘ল্যাব টেকনোলজি’, ‘পল্লী চিকিৎসা’, ‘ইউনানি মেডিসিন প্র্যাকটিস’, এমনকি ‘ফ্রিল্যান্সিং’ ও ‘ফার্মেসি’ কোর্সেও ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত কোনো ম্যাটস্-এর আওতাভুক্ত নয়।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামীণ সহজ-সরল মানুষকে লক্ষ্য করেই মনির গড়ে তুলেছেন প্রতারণার নেটওয়ার্ক। মাঠকর্মী নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থী ভর্তি এবং চেম্বারে চিকিৎসা সেবার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

কথিত ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি জানান, তিনি প্যারামেডিকেল ডিএমএফ কোর্স করেছেন। তবে ডিএমএফ কোর্স করলে ডাক্তার লেখা যাবে না বলে স্বীকার করে বলেন, ‘অচিরেই সাইনবোর্ডটি নামানো হবে।’

এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াজ মাখদুম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা বলেন, জেলায় কোনো অবৈধ প্রতিষ্ঠান চালাতে দেওয়া হবে না।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।