বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আর্থিকভাবে অস্বচছল এক ছাত্রীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম তারিক। টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হতে যাওয়া ওই ছাত্রীকে তিনি এ সাহায্য করেন।
জানা গেছে, ওই ছাত্রী বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়ন করছেন। তার বাবা একজন দিনমজুর, যিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। মাসিক আয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। মা গৃহিণী। তিনি পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। তার ছোট দুটি বোন রয়েছে- একজন দশম শ্রেণিতে পড়ে, অন্যজন প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারের সব সদস্য বাবার সীমিত আয়ের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে, সেখানে উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করাটা একপ্রকার অসম্ভব। অনেক কষ্টে ভর্তি ফি জোগাড় করা হয়েছিল- পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও এলাকার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার ও সাহায্য নিয়ে, যার কাছ থেকে যতটুকু পাওয়া গেছে, তা একত্র করে অনলাইনে ভর্তি ফি পরিশোধ করা হয়। কিন্তু ভর্তির দিন ক্যাম্পাসে গিয়ে সরাসরি উপস্থিত থাকার যাতায়াত খরচও আলাদাভাবে সংগ্রহ করতে হয়েছে।
এই দুঃসময়েই তিনি যোগাযোগ করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারিকের সঙ্গে। এরপর তরিকুল ইসলাম তারিক তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থী বলেন, টাকার অভাবে আমার পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয় গিয়েছিল। পরবর্তীতে তারিক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারিক বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনের আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল একজন ছাত্রী অর্থাভাবে তার স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারছিল না। সেই ছাত্রী আমার কাছে সাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করে, পরবর্তীতে আমার কাছে সঞ্চিত কিছু টাকা তাকে প্রদান করি। যার মাধ্যমে সে আগামী কয়েক মাস তার দৈনন্দিন ব্যয়ভার বহন করতে পারবে। এ সময় তাকে আরও আশ্বাস দেই যে, ভবিষ্যতে তার যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।
এর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন আর্থিকভাবে অস্বচছল শিক্ষার্থীর ভর্তির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন তরিকুল ইসলাম তারিক।