বগুড়ার শেরপুরে চুরির মামলায় গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ২০ ঘণ্টা পর রাব্বি মিয়া (২৭) নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর কলোনি গ্রামের ফজর আলীর ছেলে।
এদিকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এএসআই এরশাদ হোসাইন ও কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার তারাটিয়া গ্রামে তার খালু শ্বশুরের বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৯ জুলাই উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেই মামলায় রাব্বিকে গত শনিবার ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর শেরপুর থানায় এনে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের একটি কক্ষে রাখার পর সকাল ৭টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার কথা বললে কর্তব্যরত কনস্টেবল রাশেদুল তাকে বের করে আনলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে সে পালিয়ে যায়।
আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এএসআই এরশাদ হোসাইন ও কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয় এবং পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
শেরপুর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন কালবেলাকে বলেন, পুলিশ হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে কর্তব্যে অবহেলার জন্য দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়া রাব্বিকে ধরতে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করলে রোববার সকালে সলঙ্গা থানার তারাটিয়া গ্রামে তার খালু শ্বশুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। থানায় কর্তব্যরত পুলিশকে আঘাত করে পালানোর ঘটনায় রাব্বির বিরুদ্ধে নতুন করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।