আগামী অক্টোবর থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন বাড়াতে যাচ্ছে ওপেক প্লাস জোট। ইরাকের ওপেক প্রতিনিধি মোহাম্মদ আল-নাজ্জার বাগদাদে এক জ্বালানি সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, উৎপাদন বৃদ্ধির এই মাত্রা ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলের মধ্যে হতে পারে। যদিও তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
রয়টার্সের দুই সূত্রও জানিয়েছে, সদস্য দেশগুলো অন্তত ১ লাখ ৩৫ হাজার ব্যারেল বৃদ্ধির বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ওপেক প্লাসের মোট ১৬ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল দৈনিক উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ওপেক প্লাস বিশ্বের প্রায় অর্ধেক তেল উত্তোলন করে। এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত তারা প্রায় ২৫ লাখ ব্যারেল উৎপাদন করেছে, যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ। মূলত ওয়াশিংটনের চাপেই এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, যাতে বাজারে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৫ দশমিক ৫০ ডলারে শেষ হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ২ শতাংশ কম। তবে এপ্রিলে নেমে যাওয়া ৫৮ ডলারের তুলনায় এখনো অনেক বেশি। দাম কিছুটা কমলেও রাশিয়া ও ইরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজার তুলনামূলকভাবে চাপে রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন উৎপাদন বৃদ্ধির সক্ষমতা মূলত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আছে। কারণ বেশিরভাগ সদস্য দেশ আগেই তাদের সর্বোচ্চ সীমায় উৎপাদন করছে। জোটের এখনো দুটি স্তরে উত্তোলন হ্রাস কার্যকর আছে—ভি৮ দেশগুলোর ১৬ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল এবং সব সদস্য মিলিয়ে ২০ লাখ ব্যারেল। এগুলো ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।