ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মানুষকে কামড়ানো সেই পাগলা ঘোড়াটি মারা গেছে। তবে ঘোড়াটির মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে মৃত ঘোড়াটি স্থানীয়রা মাটিচাপা দেন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলের উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা বিশ্বাসপাড়ার রবিউল মোল্লার বাড়ির পাশে একটি বাগানে ঘোড়াটি মারা যায়। পরে স্থানীয়রা মাটি খুঁড়ে চাপা দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার ইমরুল ও জাকারিয়া নামের দুই যুবক চৌরাস্তা এলাকায় ঘোড়াটি দেখতে পেয়ে ধাওয়া করতে করতে এলাকায় নিয়ে আসে। পরে ওই স্থানে (রবিউল মোল্লার বাড়ির পাশে) আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ অফিসের লোকজন এসে দেখে চলে যান। পরে সন্ধ্যার আগে ঘোড়াটি মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশ এসে পৌরসভায় যোগাযোগ করতে বলে চলে যায়। পৌরসভায় যোগাযোগের পর তারা ঘোড়াটিকে মাটিচাপা দিয়ে দিতে বলেন। পরে স্থানীয়রা মাটি খুঁড়ে চাপা দেন।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মাহমুদ রহমান বলেন, যারা ঘোড়াটির মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের খুব শিগগির জলাতঙ্ক রোগের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শওকত আলী বলেন, ঘোড়াটি সম্ভবত জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত ছিল। যে কারণে ঘোড়াটি পাগলা হয়ে যায়। আর এ জাতীয় প্রাণী দু-একদিনের মধ্যে মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে অসুস্থ ঘোড়াটি মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। যাদের কামড় দিয়েছে তাদের অবশ্যই র্যাবিস ভ্যাকসিন নিতে হবে।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, বেশ কয়েকজনকে কামড়ে আহত করার পর উপজেলা ও পৌরসভার পক্ষ থেকে ঘোড়াটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। পরে খোঁজ পেয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও পৌরসভা থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ঘোড়াটি মারা যাওয়ার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত দুদিনে বোয়ালমারী উপজেলা সদরের কলেজ রোড ও চৌরাস্তা এলাকাসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ঘোড়াটির কামড়ে ও লাথিতে অন্তত ১৮ থেকে ২০ জনের মতো আহত হন। তাদের অনেককেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।