সারাদেশ

যুবককে গলাকেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মা-ছেলে গ্রেপ্তার

যুবককে গলাকেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মা-ছেলে গ্রেপ্তার


নরসিংদীর পলাশে সুদের টাকা পরিশোধের কথা বলে জহিরুল ইসলাম নামে এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উঠেছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত জহিরুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পেচারচর গ্রামের মাসুদ মিয়ার স্ত্রী শেফালি বেগম (৩১) ও তার ছেলে রিয়াদ (১৯)। তারা ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে আল আমিনের বাড়িতে ভাড়া থাকে।

আহত যুবকের স্বজনরা জানান, জহিরুল ইসলাম কৃষিকাজ ও ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুদ মিয়াকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সুদের ওপর ধার দেন। প্রথমে প্রতি মাসে সুদের টাকা পরিশোধ করলেও হঠাৎ করে তিনি সুদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। পরে দীর্ঘদিন এ টাকা পরিশোধ না করায় সুদসহ ৫ লাখ টাকা জমা হয়।

তারা আরও জানান, টাকা পরিশোধ করার কথা বলে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে জহিরুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল করে কাজিরচর গ্রামের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় মাসুদ মিয়া। পরে বাসার ভেতরে তাকে আটকে রেখে তিনি ও তার স্ত্রী শেফালি বেগম ও ছেলে রিয়াদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে মাসুদ মিয়া জহিরুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো চাকু দিয়ে গলাকেটে গুরুতর জখম করে। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় পলাশ থানায় আহতের ভাই বাচ্চু মিয়া তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে অভিযুক্তদের মধ্যে শেফালি বেগম ও রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।