ইরাকে গিয়ে গুম হয়েছিলেন এক ইসরায়েলি-রাশিয়ান ছাত্রী। দীর্ঘদিন পর তিনি ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তথ্যটি জানান। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
ট্রাম্প জানান, ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া কর্তৃক অপহৃত ও জিম্মি ইসরায়েলি-রাশিয়ান ছাত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত কিছু না বলে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, প্রিন্সটনের ছাত্রী এলিজাবেথ সুরকভ (যার বোন একজন আমেরিকান নাগরিক) তাকে কাটাইব হিজবুল্লাহ (জঙ্গি হিজবুল্লাহ) মুক্তি দিয়েছে। বহু মাস ধরে নির্যাতনের পর এখন ইরাকের আমেরিকান দূতাবাসে নিরাপদে আছেন তিনি। আমি সর্বদা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করব এবং কখনো হাল ছাড়ব না। হামাস, বন্দিদের এখনই মুক্তি দাও।
নিউ জার্সির প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্রী এবং নিউ লাইনস ইনস্টিটিউটের ফেলো সুরকভ। ইরাকে গবেষণা পরিচালনা করার সময় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। ৯০৩ দিন বন্দী থাকার পর সুরকভের বোন তার মুক্তি নিশ্চিত করেছেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইরাকের সশস্ত্র মিলিশিয়াদের মধ্যে কোনো গোষ্ঠী তার নিখোঁজের দায় স্বীকার করেনি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, তিনি ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া কাতাইব হিজবুল্লাহর হাতে আটক ছিলেন।
যদিও গোষ্ঠীটি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। একজন ইরাকি কর্মকর্তা ইসরায়েলের চ্যানেল ১১-কে বলেছেন, তাকে প্রথমে ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থা অথবা অফিসারদের ছদ্মবেশী ব্যক্তিরা আটক করে। পরে মিলিশিয়াদের কাছে হস্তান্তর করে।
ইরান-সমর্থিত এবং অর্থায়িত বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে একটি কাতাইব হিজবুল্লাহ। তারা ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইরাকের সংঘাতে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে তাদের অস্ত্র ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ক্ষমতা ও প্রভাব ধরে রাখে। তেহরানের পক্ষ থেকে সুরকভের ফিরে আসা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি।