২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নরওয়ে এক রাতেই ফুটবল উন্মাদনা সৃষ্টি করলো। মাঠে নেমে নরওয়ের গোলমেশিন আর্লিং হলান্ড একাই ম্যাচের রঙ ধরলেন, পাঁচটি গোলের দাপট দেখিয়ে নরওয়ের ১১-১ ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত হলো।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য হলান্ড গোলস্কোরারের চেয়ে প্লে-মেকার হিসেবে উজ্জ্বল। মাত্র ছয় মিনিটে ফিলিক্স মিহরের জন্য গোলের সুযোগ তৈরি করলেন। এরপর ১১, ৩৬ ও ৪৩ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করে নরওয়েকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধের স্টপেজে মার্টিন ওডেগার্ডও একটি গোল যোগ করেন, যা নরওয়ের লিড আরও দৃঢ় করে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোলদোভা কিছু করার আগেই হলান্ড আক্রমণ থামালেন না। সাত মিনিটে চতুর্থ গোল, ৮৩ মিনিটে পঞ্চম গোল—এভাবেই জয় নিশ্চিত করলেন। সাবস্টিটিউট হিসেবে নামা থেলো আসগার্ড চারটি গোল করলেও হল্যান্ডের পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেল সব কিছুকে।
মাঠের উন্মাদনা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝড় তুলেছে। কেউ লিখলেন,
‘হলান্ড, এক কথায় অসাধারণ! প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক।’
আরেকজন মন্তব্য করলেন,
‘ওডেগার্ডের সাথে হলান্ডের জুটি, বিশ্বকাপ এখনও প্রস্তুত নয়।’
শেষ বাঁশিতে হলান্ডের আন্তর্জাতিক রেকর্ড দাঁড়ালো ৪৮ গোল ৪৫ ম্যাচে। এই পাঁচ গোল তার জন্য ব্যক্তিগত সেরা এবং ইউরোপের মধ্যে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ, ১৯৭৭ সালে অস্ট্রিয়ার হ্যান্স ক্র্যাঙ্কলের ছয় গোলের রেকর্ডের পর।
এই জয়ের ফলে নরওয়ে তাদের গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালির চেয়ে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে গেল। হলান্ড ও ওডেগার্ডের দাপটে নরওয়েকে ২০২৬ বিশ্বকাপে অপ্রত্যাশিত ডার্ক হর্স হিসেবে ধরাই যায়।