সারাদেশ

হুন্ডি ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে : চসিক মেয়র

হুন্ডি ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে : চসিক মেয়র


দেশের উন্নয়নে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিকল্প নেই। আর বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করাসহ হুন্ডি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মিডিয়া পালন করতে পারে ব্যাপক ‍ভূমিকা। আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও রেমিট্যান্স অ্যাপ ‘নালা’ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের লালখানবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ‘রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নালা বাংলাদেশ-এর হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৈধপথে আনতে হবে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়েছেন অন্যায়কে না বলার জন্য।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে গণমাধ্যম। সরকার ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়কে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজতর করতে হবে।

মেয়র বলেন, প্রবাসে বাংলাদেশিদের চাকরি হারানোর বিষয়ে ভাবতে হবে দূতাবাসগুলোকে। জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কানাডায় দেখেছি, প্রচুর নার্স ও হেলথ কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্টের চাহিদা আছে। এর জন্য ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মাহমুদুল হাসান বলেন, মিডিয়া হলো জনসচেতনতা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে শুধু প্রবাসীর পরিবারই নয়, গোটা দেশ উপকৃত হয়। ব্যাংকিং চ্যানেল বা অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, দ্রুত অর্থ পৌঁছে যায় এবং খরচও কম হয়। সাংবাদিকরা এই বার্তাগুলো মানুষের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারে। বিভিন্ন প্রচারণা, সফলতার গল্প এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানুষকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করলে মূলত দেশেরই লাভ।

মূল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। প্রতিবছর কোটি কোটি ডলার দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয় এই রেমিট্যান্সের মাধ্যমে। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে এ প্রবাহ বাড়াতে প্রবাসীদের সচেতনতা, আস্থা এবং ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলা জরুরি। আর এখানেই মিডিয়ার ভূমিকাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

‘নালা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে নালা অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে মোট ২১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন। ২০২১ সালে চালু হওয়া অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ লাখেরও বেশি।

মতবিনিময় সভায় পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বর্তমানে ২১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো যাচ্ছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।