কোনো ধরনের ঘুষ-তদবির ছাড়াই পুলিশের চাকরি পেলেন সাতক্ষীরার ২৮ তরুণ-তরুণী। সাতক্ষীরায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন তারা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এ সময় খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নির্বাচিত প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। অনেকে আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারেননি।
এবারে এ নিয়োগ পরীক্ষায় ১ হাজার ৯০০ প্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১ হাজার ৪০০ জন। প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হন ৩৩৫ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫৮ জন। মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৩৬ জন। পরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২৮ জন এবং অপেক্ষমাণ রয়েছেন ৬ জন।
নির্বাচিত প্রার্থীরা বলেন, মাত্র ১২০ টাকার আবেদন ফি দিয়ে চাকরি পাওয়া তাদের কাছে এক অবিশ্বাস্য প্রাপ্তি। ঘুষ বা তদবির ছাড়াই পুলিশে যোগদানের সুযোগ পেয়ে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের প্রতি।
এসপি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়োগ সম্পন্ন করেছি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সবাই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। এখানে কোনো প্রকার তদবির বা প্রভাবের সুযোগ রাখা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়ে প্রার্থীরা দেশের সেবা করার সুযোগ পাবেন। এজন্য সততা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে অকৃতকার্য প্রার্থীদের ভবিষ্যতে আবারও প্রস্তুতি নিয়ে চেষ্টা করার অনুরোধ জানান।
নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) বিমল কৃষ্ণ মল্লিক, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মুকিত হাসান খানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।