ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর নেতাদের লক্ষ্য করে কাতারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। একই ধরনের হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কে ভুগছে মিশর। তবে সমানতালে প্রস্তুতিও নিচ্ছে দেশটি। মিশর বলেছে, হামলা হলে শত্রুদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
মিশর আমেরিকাকে সতর্ক করে জানিয়েছে, তার মাটিতে হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করলে প্রতিপক্ষকে বিধ্বংসী পরিণতি ভোগ করতে হবে। লেবাননের দৈনিক আল-আখবার তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কায়রো আমেরিকানদের কাছে স্পষ্ট করে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। তাতে বলেছে, কাতারে ইসরায়েলের পদক্ষেপের মতো মিশরে হামাস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার যে কোনো প্রচেষ্টার ভয়াবহ পরিণতি হবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, মিশর হামাসসহ গাজা-ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার এবং তাদের ভূখণ্ডে থাকাকালীন তাদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মিশরের আশ্রয়ে থাকাকালীন ওই নেতাদের ওপর কোনো আক্রমণ সহ্য করা হবে না।
কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এতে তিনি ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানান। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ওই ফোনালাপে নরেন্দ্র মোদি দোহায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা জানান। এক্স পোস্টে মোদি বলেন, উত্তেজনা এড়াতে আমরা সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক আলোচনাকে সমর্থন করি। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ভারত।
এ ছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন দেশ কাতারে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দেশগুলো বলছে, এ ধরনের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বিশ্বকে করুণ পরিণতির দিকে ঠেলে দেবে।