নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এক ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) জেলা এলজিইডি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অনিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদল থেকে অনিক মাহবুব চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীর নাম সারোয়ার জাহান, তিনি এলজিইডির প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে সারোয়ার জাহান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে বসে কথা বলছিলেন। ওই সময় সুমন নামের এক যুবক এসে সারোয়ার জাহানকে ডেকে বাইরে নিয়ে আসেন। বাইরে এলে তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী। একপর্যায়ে ভবনের দোতলা থেকে মারধর করে নিচতলায় নিয়ে আসেন। অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে একটি রুমে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে সারোয়ার জাহান বলেন, ‘একজনকে দিয়ে আমাকে বাইরে ডেকে এনে মারধর করেছে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী। মদনের লোকদের নেত্রকোনা শহরে আসতে দেবে না বলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন।’
সারোয়ার জাহান বলেন, ‘অনিক যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে, তার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি থানাতে অভিযোগ করেছি।’
নেত্রকোনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদার সারোয়ার জাহান আমার রুমে বসে কথা বলছিলেন। এমন সময় একজন তাকে ডেকে বাইরে নিয়ে মারধর করা হয়। আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
মারধরের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদার সারোয়ার জাহানের সঙ্গে সুমন নামের একজনের কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি শুনে আমি এগিয়ে যাই। এখানে আমাকে অহেতুক জড়ানো হচ্ছে। আমি মারধর করিনি।’
অভিযোগের বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’