সারাদেশ

মুন্সীগঞ্জের নৌ ডাকাত শামীম গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জের নৌ ডাকাত শামীম গ্রেপ্তার


মুন্সীগঞ্জের মেঘনার নৌ ডাকাত দলের সদস্য শামীম বেপারীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি শীর্ষ নৌ ডাকাত উজ্জ্বল খালাসি ওরফে বাবলা ডাকাত হত্যা মামলার আসামি।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শামীম বেপারী মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কাজিয়ার চর গ্রামের বছির বেপারীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২২ অক্টোবর সকালে বাবলা ডাকাতকে গজারিয়ায় হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় শীর্ষ নৌ ডাকাত নয়ন, পিয়াস, কানা জহির, জসিম মেম্বার, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুসহ মুন্সীগঞ্জ সদর, গজারিয়া ও চাঁদপুরের উত্তর মতলবের ১১ জনকে এজাহারনামীয় এবং আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এই মামলার ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে গ্রেপ্তার শামীম বেপারীকে।

গত ২৬ অক্টোবর নিহত বাবলা ডাকাতের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানায় মামলা করেন। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন নিহত ডাকাত বাবলা।

গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চরগ্রামে রহিম বাদশার বাড়িতে নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন ও ডাকাতি করা অর্থের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বাবলা ডাকাত নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ রহিম বাদশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আহত স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার হোসেন ও লিটন মিয়াজীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা এবং তাদের ব্যবহৃত স্পিডবোটও জব্দ করা হয়েছে। মল্লিকের চরকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করত নৌ ডাকাত দল।

জানা গেছে, কালিরচর ও গুয়াগাছিয়া এলাকায় বালু উত্তোলন নিয়ে নৌ ডাকাত কিবরিয়া-বাবলা ডাকাত পক্ষের সঙ্গে অপর নৌ ডাকাত দল নয়ন, পিয়াস, কানা জহির পক্ষের লোকজনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে বাবলা ডাকাতকে হত্যা করে অপর গ্রুপের নয়ন, পিয়াস, শামীমসহ নৌ ডাকাতরা।

স্থানীয়রা জানান, শীর্ষ নৌ ডাকাত গোলাম কিবরিয়া মিয়াজী, নয়ন সরকার, পিয়াস সরকার ও জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহির এখন পদ্মা ও মেঘনা নদীপথের আতঙ্ক। এই নৌ ডাকাতদের সদস্য সংখ্যা ২০০-এর বেশি। একেকজনের বিরুদ্ধে ডজন থেকে তিন ডজন মামলা রয়েছে। কিন্তু জেলা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ।

এদিকে, নিহত বাবলা ওরফে উজ্জ্বল খালাসীর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে চাঁদপুর থানায় ৮টি, মুন্সীগঞ্জ সদরে ২২টি, নারায়ণগঞ্জে চারটি ও শরীয়তপুরে তিনটিসহ ৩৭টি মামলা ছিল।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সাইফুল আলম বলেন, শামীম বেপারীকে বাংলাবাজারে কোরবানির হাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। আর কি কি মামলা আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।