সারাদেশ

ইউএনওর এক মাসের ছাদ পরিষ্কারে ব্যয় ২৪ হাজার

ইউএনওর এক মাসের ছাদ পরিষ্কারে ব্যয় ২৪ হাজার


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের ছাদের আগাছা পরিষ্কারেই ২৪ হাজার টাকা ব্যয় দেখালেন ইউএনও। তবে ইউএনও বলছেন বিলে হয়তো মিসটেক হয়েছে।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে উল্লাপাড়া উপজেলার প্রশাসনিক ভবনের আগাছা পরিষ্কারেই ২৪ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার স্কয়ার ফুট ভবনের ছাদের এই আগাছা পরিষ্কার করতে এত টাকা কেন ব্যয় করা হলো, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বলেন, ছাদের আগাছা পরিষ্কারে এক থেকে দুজন শ্রমিক লাগার কথা, যার মজুরি সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় হাজার টাকা। ১৬ গুণ বেশি টাকা কেন লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন করেন অনেকেই।

উপজেলা পরিষদের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ইউএনও এবং প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসানাতের সভাপতিত্বে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার কার্যবিবরণীর ১৬ নম্বর ঘরে আয় ব্যয়ের উপর আলোচনা হয়।

সেখানে বিদ্যুৎ বিল, আপ্যায়ন, মহান বিজয় দিবস উদযাপনসহ বিভিন্ন খাতে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। শেষ লাইনে বর্জ্য অপসারণ খাতে প্রশাসনিক ভবনের ছাদের আগাছা পরিষ্কার বাবদ ২৪ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অফিস সহকারী রিপন কুমার বলেন, আমাদের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের পেছনে অনেক জঙ্গল ছিল সেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। ব্যয় আরও বেশি হয়েছে। নীতিমালার মধ্যে যেভাবে আছে সেভাবে দেখাতে হয়। কিন্তু আসলে ছাদও পরিষ্কার করতে হয় পাশাপাশি আশপাশের আবাসিক ভবনে অনেক আগাছা হয় সেগুলো পরিষ্কার করতে হয়। এটা কমন একটা প্রসেস আরকি।

উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার আজাদ বলেন, ডিসেম্বরের ব্যয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ডিসেম্বরের পরে এখানে এসেছি।

উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, এটা প্রশাসনিক ব্যাপার, ইউএনও দেখেন। আমাদের তো ফিল্ড ওয়ার্ক করার সুযোগ নেই। আমরা প্রোপার বিল ভাউচার ঠিক থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাউন্টার সাইন বা উনি যে ব্যয় করেছেন তার ডকুমেন্ট থাকলে সেটা আর ব্যাক করা সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত কালবেলাকে বলেন, ২০২৪ সালের জুন থেকেই উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থানে আগাছা পরিষ্কারে ব্যয় করা হয়েছে। ডিসেম্বরে এসে সেটার বিল করা হয়েছে। ডিসেম্বরের ওই বিলে শুধু ছাদের আগাছা পরিষ্কারের কথা লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হয়তো মিসটেক হয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।