সারাদেশ

ইটের গুঁড়া দিয়ে কীটনাশক-সার তৈরি করত তারা

ইটের গুঁড়া দিয়ে কীটনাশক-সার তৈরি করত তারা


সাতক্ষীরার বিসিক শিল্পনগরীতে একটি অবৈধ সার কারখানায় অভিযান চালিয়ে ইটের গুঁড়া দিয়ে তৈরি বিপুল ভেজাল কীটনাশক, মাছের খাবার ও সার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এবং ভেজাল সার উৎপাদনের অপরাধে কারখানাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানের সময় আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানার মালিক সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যান। পরে কারখানার ভেতর থেকে প্লান গ্রোথ রেগুলেটর হরমোন (পিজিআর), ভেজাল মাছের খাবার, ওফসন, প্লান কটন, ফিস জেল, জিও এসটার, সালফার, ওজন বৃদ্ধির জন্য বালি, টিএসপিতে মিশানো ইটের গুঁড়াসহ বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ও কৃষি-ফিশারি ব্যবহৃত ভেজাল পণ্য জব্দ করা হয়।

এ সময় কারখানার ম্যানেজার কামাল হোসেন কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মালিককে জরিমানা করা হয়। জব্দ ভেজাল পণ্য বিসিক শিল্পনগরীর উপব্যবস্থাপক গৌরব দাশের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন মোল্যা জানান, রকিবুল ইসলাম বিসিক শিল্পনগরীতে প্লট বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই ভেজাল প্রক্রিয়ায় প্রাণী ও মাছের খাবার এবং কৃষিতে ব্যবহৃত সার উৎপাদন করে আসছিলেন। এ প্রক্রিয়া বন্ধ করতেই এ অভিযান চালানো হয়।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, কৃত্রিম ও ভেজাল উপাদানে তৈরি কৃষি ও অন্যান্য পণ্য মানুষ, প্রাণী ও মাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া এসব পণ্য উৎপাদন ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। তিনি জানান, জব্দ মালামাল বিসিক শিল্পনগরীতে সংরক্ষণ করা আছে এবং যথাসময়ে সেগুলো বিনষ্ট করা হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালের সার ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।