সারাদেশ

এক মণ ধানে একজন শ্রমিক!

এক মণ ধানে একজন শ্রমিক!


দিগন্তজোড়া সোনালি ধান, চোখ যেদিকে যায় শুধু হলুদ আর সবুজের মিতালি। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মাঠজুড়ে এখন এমনই চিত্র। কৃষকের স্বপ্নের সোনার ধান পাকতে শুরু করেছে, কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে চরম শ্রমিক সংকট। এতে করে বোরো চাষিদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর ধনবাড়ীতে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাত যেমন- ব্রী ধান ৮৯, ৯২, ১০২, ১০৪ ও নতুন জাত ব্রী ধান ১০৮-এর চাষ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকরা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ মেনে উন্নত জাতের ধান চাষ করেছেন। ফলে ভালো ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম ধান পাকতে ও কাটতে শুরু করেছে, কয়েক দিনের মধ্যেই পুরো ফসল প্রস্তুত হয়ে যাবে ঘরে তোলার জন্য। তবে সমস্যা দেখা দিয়েছে ধানকাটার শ্রমিক সংকটে। বর্ধিত মজুরির পরও মিলছে না পর্যাপ্ত শ্রমিক। দিনে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি দিলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি অন্যান্য জেলা থেকেও এবার তেমনভাবে শ্রমিক আসেনি। ফলে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কাটতে শুরু করেছেন।

মুশুদ্দি ইউনিয়নের কৃষক জলিল বলেন, এই বছর ৯২ জাতের ধান চাষ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু ধানকাটার শ্রমিক পাচ্ছি না।

কৃষক রশিদ আকন্দ বলেন, পাকা ধান মাঠে পড়ে আছে, কিন্তু শ্রমিক নেই। তাপমাত্রা এত বেশি যে কাজ করা কঠিন। ঝড়-বৃষ্টির আগে ধান ঘরে তুলতে পারব কি না তা নিয়েই এখন দুশ্চিন্তায় আছি।

ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মাসুদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বিশেষ করে নতুন জাতের ধানের বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। শ্রমিক সংকট কিছু এলাকায় থাকলেও কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানকাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত ধান কেটে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।