সারাদেশ

কারাগারে যাওয়ার সময় জামায়াত নেতার সঙ্গে করমর্দন করলেন সাবেক মন্ত্রী

কারাগারে যাওয়ার সময় জামায়াত নেতার সঙ্গে করমর্দন করলেন সাবেক মন্ত্রী


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়ার সময় রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলামের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে তাকে রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতে তোলা হলে তার আইজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, পুলিশ কাজী কেরামত আলীকে প্রিজনভ্যানে তোলার জন্য আদালত কক্ষ থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আদালতের বারান্দায় রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলামের সঙ্গে কাজী কেরামত আলীর দেখা হয়। দূর থেকে নূরুল ইসলামকে দেখে হাত উঠিয়ে সালাম দেন কাজী কেরামত আলী। পরে হাতকড়া পড়া অবস্থাতেই নূরুল ইসলামের কাছে গিয়ে করমর্দন করেন তিনি। নূরুল ইসলামও করমর্দনের পাশাপাশি মাথা নাড়িয়ে কুশল বিনিময় করেন।

রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা সকলেই একই এলাকায় বসবাস করি। আমি কোর্ট থেকে আরেক কোর্টে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই ভাই আমার সামনে আসার পর হাত বাড়িয়ে দেয়। আমিও হাত এগিয়ে দেই। আমি যদি আগে জানতাম উনি ওখান দিয়ে আসছেন, তাহলে এখানে দাঁড়াতাম না।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন রাজিব মোল্লা নামে এক শিক্ষার্থী। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় রোববার রাতে কাজী কেরামত আলীকে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।