কুড়িগ্রামে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ বেশ কয়েকটি নদ নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের ফসলি জমি, বাদাম, ভুট্টা ও পেয়াজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিরমুখে পড়েছে কৃষকরা। অন্য দিকে জেলার বেশ কটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জেলার ধরলা নদীর পানি ২২ দশমিক ৬৬ সেমি, দুধকুমার নদীর পানি ২০ দশমিক ৬৮ ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২২ দশমিক ৭০ সেমি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২ দিন পানি সমতলে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান অফিসটি।
তিস্তার চরের বিদ্যানন্দ এলাকার কৃষক মো. সাইদ বাবু জানান, ‘আমার ২ বিঘা জমির বাদাম ক্ষেত শনিবার (০১ মে) পানিতে তলে গেছে। কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
আরেক কৃষক সামাদ আলী বলেন, ‘আমি এবারে বাদাম ক্ষেত করে বড় লোকসানে পড়লাম। ঋণ করে ৫ বিঘা জমিতে বাদাম ও ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। আগাম পানিতে সব তলে গেছে। বড় বিপদে পড়ে গেলাম।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, চলতি মাসের জুন ৩-৪ তারিখ পর্যন্ত জেলার সব কটি নদ নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নদ নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার কোনো আশঙ্কা নেই। অন্য নদীর ভাঙন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে বলে জানান তিনি।