কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পারিবারিক কলহের জেরে কাইয়ুম মিয়া নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১টায় উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলী কলনীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. কাইয়ুম মিয়া উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জালাল উদ্দীন মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ির পাশে বসবাস করতেন।
নিহতের বাবা জালাল উদ্দীন বলেন, দীর্ঘ ১১ বছর আগে চক্রতলা কলনীপাড়া গ্রামের মৃত নূরু মিয়ার মেয়ে আঁখি আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় আমার ছেলে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত। ঝগড়ার কারণে ছেলের সুখের কথা চিন্তা করে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে আলাদা করে দেই। এরপর থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করত ছেলে। এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না। তবে মাঝেমধ্যে খবর পেতাম স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হলে কাইয়ুমের স্ত্রীর বড়ভাই তাজুল ইসলাম ও মামা আবুল হোসেন প্রায়ই আমার ছেলেকে মারধর করতেন।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাত ২টার দিকে আমার বড় মেয়ে ফোন করে আমাকে জানায়, কাইয়ুম নাকি ফাঁসি দিয়ে মারা গেছে। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। গলায় কোনো ফাঁসির চিহ্ন দেখতে পাইনি। আমরা নিশ্চিত স্ত্রী ও তার ভাই-মামা মিলে আমার ছেলেকে খুন করে ফাঁসি দেওয়ার নাটক সাজাচ্ছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার ও ফাঁসি চাই।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের বউ আঁখি বেগম, তার বড়ভাই তাজুল ইসলাম ও মামা আবুল হোসেনকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, কাইয়ুম মারা যাওয়ার পর থেকে তারা ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, শনিবার ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে নিহতের গলায় কোনো দাগ না থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Source link