সারাদেশ

কুয়াকাটায় তীব্র রোদে গোসলে মাতোয়ারা পর্যটক

কুয়াকাটায় তীব্র রোদে গোসলে মাতোয়ারা পর্যটক


প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত সাগর কন্যা কুয়াকাটা। যেখানে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দেখা যায় বলে কুয়াকাটা পর্যটকদের প্রথম পছন্দ।

ঈদুল আজহা ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ১০ দিনের ছুটিতে ইতোমধ্যেই অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন এই সাগর কন্যায়। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর পুরো সৈকত এলাকা। ঈদের তৃতীয় দিনেও রয়েছে পর্যটকের আনাগোনা। বেচাবিক্রি বেড়েছে পর্যটনখ্যাত এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী।

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে সৈকতে ভিড় জমাতে শুরু করেন ভ্রমণপ্রেমীরা। স্নিগ্ধ সমুদ্রের ঢেউ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে নিজেকে মাতিয়ে তুলেছেন। তীব্র রোদকে উপেক্ষা করে গোসলে মেতেছেন সমুদ্রপ্রেমীরা।

উপকূলের বিস্তৃত বালিয়াড়িতে উৎসবমুখর মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। কেউ সাঁতার কাটছেন, কেউ দলবেঁধে ছবি তুলছেন, কেউবা আবার বেঞ্চে বসে ঢেউয়ের গর্জন শুনছেন। অনেকে ঘোড়ার গাড়ি, মোটরবাইক কিংবা ইজিবাইকে সৈকতের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ঘুরে দেখছেন। কাক ডাকা ভোরে গঙ্গামতীর সূর্যোদয় পয়েন্টেও পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এছাড়াও লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লি, ঝাউবাগান, বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন স্পটে পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রিমন বলেন, গতকাল বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে কুয়াকাটা এসেছি, কাক ডাকা ভোরে মোটরসাইকেলযোগে গঙ্গামতির চরে সূর্যোদয় দেখেছি, দুপুরে সৈকতে গোসল করছি, বড় বড় ঢেউ বেশ ভালোই লেগেছে জায়গাটা।

নরসিংদী থেকে আসা পর্যটক মিথিলা বলেন, তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রে গোসল করেছি, সূর্যাস্ত দেখেছি। পরিবেশটা অনেক সুন্দর তবে লেম্বুর বন যেতে অনেকটা কষ্ট হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা মোটেও ভালো নয়।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লিয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ কালবেলাকে বলেন, আজ সৈকতে পর্যটকদের ভালোই ভিড় রয়েছে। তবে আগামীকাল হোটেল-মোটেলে ৯০ শতাংশ বুকিং রয়েছে।

আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারিতে টুরিস্ট পুলিশ। কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, দর্শনীয় সকল স্পটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি থানা ও নৌ-পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। সমুদ্র সৈকত এলাকায় পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।