সারাদেশ

ক্ষেতলাল থানায় ১০ মাসে ৫ ওসির বদলি

ক্ষেতলাল থানায় ১০ মাসে ৫ ওসির বদলি


জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় ৫ আগস্টের পর থেকে ১০ মাসে ৫ ওসির বদলির ঘটনা ঘটেছে! মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে থানাটিতে দায়িত্ব পালনে আসা একে একে পাঁচ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদলি হয়েছেন। কয়েক মাস পর পর ওসি বদলির এ ঘটনাগুলো ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

প্রতিটি ওসির মেয়াদকাল ছিল তুলনামূলকভাবে কম, কেউ কেউ মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই বদলি হয়ে যান। থানায় দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বে না থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থায়ী কৌশল গ্রহণে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

ক্ষেতলালের সুশীল সমাজের অনেকেই বলছেন, একটি থানার নেতৃত্বের বারবার পরিবর্তন হলে মামলা তদন্ত, মাদক নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠায় ব্যাঘাত ঘটে। ক্ষেতলালের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও এই বদলিকে অনেকে বিশেষ বার্তা হিসেবে দেখছেন।

ক্ষেতলাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী কালবেলাকে বলেন, কিছুদিন পর পর ওসিদের বদলি ক্ষেতলাল থানার আইনশৃঙ্খলার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। কোনো নতুন ওসি এলে থানা এলাকার গ্রাম, ওয়ার্ড, ক্রিমিনাল, ক্রাইমজোন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিদের চেনার আগেই আবার বদলি হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ক্ষেতলাল থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে কেউই ভালোভাবে কাজ করতে পারছে না। এ নিয়ে জনমনেও তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা-কল্পনা, তৈরি হচ্ছে নানাবিধ প্রশ্ন!

ক্ষেতলাল থানার সদ্য বিদায়ী ওসি ফরিদ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমি দেড় মাস ওই থানায় দায়িত্ব পালন করেছি। সেখানকার মানুষ যথেষ্ট ভালো। আমাকে সেখান থেকে জয়পুরহাট সদর থানায় ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। আমি শুক্রবার রাতেই এখানে যোগদান করেছি।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুল ওহাব কালবেলাকে বলেন, এই বদলিগুলো প্রশাসনিক কারণে হচ্ছে। এসবের অন্য কোনো কারণ নেই।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।