সারাদেশ

চট্টগ্রামে পিন্টু হত্যা : কিলার দেলুসহ ৭ আসামি রিমান্ডে

চট্টগ্রামে পিন্টু হত্যা : কিলার দেলুসহ ৭ আসামি রিমান্ডে


চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় আব্দুল আল মনির পিন্টু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেন এ আদেশ দেন।

বিষয়টি আদালতের বেঞ্চ সহকারী তারিকুল ইসলাম কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্র জানায়, এ মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলুকে ৩ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন বিচারক। মো. আলম, মো. মহিউদ্দিন ওরফে গোলাপ এবং হাসান ওরফে কিরিচ হাসানকে ২ দিন করে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে মোবারক হোসেন বাপ্পী, মো. শাহীন ও মো. কামরুল ইসলামকে ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ থানার এসআই মো. রমিজ উদ্দিন আদালতে দাখিল করা আবেদনে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। হত্যায় কারও ইন্ধন বা কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ের বিষয় জড়িত কিনা, তা জানতেই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। পাশাপাশি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার, পলাতক আসামিদের শনাক্ত এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের স্বার্থেও তাদের রিমান্ড জরুরি।

গত ৩০ আগস্ট রাত ৯টার দিকে আলীনগর এলাকায় রমিজ সওদাগরের দোকানের সামনে পিন্টুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার রেশমী বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হয় ৩০২/৩৪ ধারায়।

আসামিরা হলেন বার্মা কলোনির দেলোয়ার হোসেন দেলু ও জাহিদ হোসেন জাহিদ, আমিন কলোনীর আলম, হিলভিউ এলাকার মহিউদ্দিন ও হাসান, পূর্ব মোহাম্মদনগর এলাকার আলমগীর হোসেন, নবীনগর এলাকার লিজন এবং বাস্তহারা এলাকার জিবনী বাবু।

পুলিশের ভাষ্য, আসামিরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই ও গাঁজা ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত। নিহত পিন্টুর সঙ্গে তাদের শত্রুতা ছিল। আগেও তাকে একাধিকবার হুমকি ও মারধর করা হয়েছে বলে এজাহারে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।