রাজশাহীতে সাড়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অটোরিকশাচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে মহানগরীতে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের কাছ থেকে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে এ টাকা ছিনতাই করা হয়।
গ্রেপ্তার মাসুম নওগাঁ জেলার মান্দা থানার ঠাকুর মান্দা গ্রামের মৃত ছানোয়ার শেখের ছেলে। সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, গত ২০ এপ্রিল সকালে ব্যবসায়ী বিপুল ঘোষ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ম্যানেজার দিলীপ কুমার প্রামাণিকের মাধ্যমে নগদ ১৩ লাখ টাকা পাঠান।
সকাল পৌনে ৯টায় দিলীপ নগরীর বোয়ালিয়া থানার ঘোড়ামারা পানির পাম্প সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে রিকশাচালক হঠাৎ সাগরপাড়া মহল্লার একটি গলির দিকে মোড় নেন। ঠিক সে সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত দুই ছিনতাইকারী রিকশার পথ রোধ করে তার চোখে মরিচের গুঁড়ার মতো কিছু ছিটিয়ে দেয়। তখন তিনি একদম কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না।
একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে তার টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে গেলে তিনি বাধা দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় ব্যাগ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পড়ে যায়।
তবে ব্যাগে থাকা বাকি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়।
পরে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। মহানগরজুড়ে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয় এবং থানা ও টহল দলকে সতর্ক করা হয়।
ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত রিকশা এবং চালককে শনাক্ত করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার এসআই শরিফুল ইসলাম ও তার টিম সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে আসামি মাসুমকে তার নিজ বাড়ি মান্দা থেকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি মাসুম ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার পরপরই সে আত্মগোপনে চলে যায়। ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এসআই শরিফুল।