‘চুমকি বড় স্বার্থপর’ গানের অ্যালবাম করেই প্রশংসিত হয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী জসিম শাহ। তার করা অ্যালবাম দেশ-বিদেশের দর্শকের কাছে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। এরপর ‘দুঃখে গড়া জীবন’, ‘তোমার জন্য কাঁদি আমি’সহ একেরপর এক অ্যালবাম বের হয়েছিল। আর সেগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বেশ।
বর্তমানে তিনি কাজের অভাবে নিজ জেলা ঝালকাঠির নলছিটিতে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। আর এই ছোট্ট চায়ের দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে তার সংসার।
কথা হয় কণ্ঠশিল্পী জসিম সরদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে গুরু গিয়াস উদ্দিন লিটু ভাইর মাধ্যমে। প্রথমে নিজ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে গান করতাম। তারপর ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন স্টাইলে গান করি। এরপর সুরকার নাজির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে সোনালী প্রোডাকসের কর্ণধার ইকবাল ভাইয়ের কাছে যাই।
তিনি বলেন, প্রথম অ্যালবাম বের হয় ‘চুমকি বড় স্বার্থপর’। এটাতে ব্যাপক সাড়া পাই। এরপর একের পর এক অ্যালবাম বের হয়। দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল। সংগীতের অবস্থান ধরে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে আর ধরে রাখতে পারিনি। তাই নিজ এলাকায় একটি চায়ের দোকান দিয়েছি।
আধুনিক, ফোক, ব্যান্ডসহ সব গানের জন্য এখন কেউ যদি তাকে দিয়ে কাজ করাতে চায় তাহলে তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
নলছিটি পৌরশহরের স্থানীয়রা জানান, কণ্ঠশিল্পী জসিমের অনেক প্রতিভা রয়েছে। তার কণ্ঠস্বর অনেক ভালো। তাকে আবার কেউ সুযোগ দিলে সে ভালো কিছু করতে পারবে।
জসিমের ওস্তাদ গিয়াস উদ্দিন লিটু বলেন, জসিমের বাবাও একজন পুরোনো দিনের শিল্পী ছিলেন। জসিমের প্রতিভা অনেক ভালো। ও ভালো কিছু করতে পারত। কিন্তু কালের বিবর্তনের ফলে শিল্পীরা হারিয়ে যাচ্ছে। ভালো শিল্পীদের এখন আর মূল্যয়ন করা হয় না। বর্তমানে গান ছেড়ে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন, কিন্তু কেউ যদি তাকে সুযোগ দেয় তাহলে ভালো কিছু করতে পারত। ওর গানের সুর এখনো অনেক সুন্দর। আমরা চাই সে আগের জায়গায় ফিরুক।