সারাদেশ

ডলফিন রক্ষায় বন বিভাগের নতুন কার্যক্রম

ডলফিন রক্ষায় বন বিভাগের নতুন কার্যক্রম


ডলফিন রক্ষায় মাছসহ সকল প্রকার আহরণ বন্ধে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য ঘোষিত খাল ও নদীতে স্থাপন করা হয়েছে লাল পতাকা।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পূর্ব সুন্দরবনের ডলফিন অভয়ারণ্যে এলাকা ঢাংমারী খালের ঘাগড়ামারী টহল ফাঁড়ি থেকে পশুর নদীর পশ্চিম পাড় এবং করমজল হয়ে জোংড়া টহল ফাঁড়ির ছোট জোংড়া খাল পর্যন্ত অনেকগুলো ফ্ল্যাগ দেখা যায়। ওই লাল পতাকায় লেখা রয়েছে, ‘মাছ ধরা নিষেধ’ ও ‘ডলফিন অভয়ারণ্য’।

সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী বলেন, ২০১২ সালে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী, চাঁদপাই ও দুধমুখী নামক ৩টি খালের সমন্বয়ে ১০.৭ বর্গ কিলোমিটার নদীকে ডলফিন অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। কারণ, এখানে ইরাবতি ডলফিন প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু কিছু জেলে ও দুস্কৃতকারীরা আহরণ নিষিদ্ধ থাকা ওই এলাকায় প্রায় মাছ ধরতে দেখা যায়। তাই ডলফিন নিরাপদ রাখতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন লাল ফ্ল্যাগ স্থাপন করা হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পৃথিবীতে মোট ৪০ রকমের (প্রজাতি-উপপ্রজাতি মিলিয়ে) ডলফিন রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবনের নদীতে ৪টি প্রজাতির ডলফিন জাতীয় প্রাণী দেখা যায়। ইন্দোপ্যাসিফিক হামব্যাক ডলফিন শীতের মৌসুমে সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে এসে পড়ে। এবং ইরাবতী ডলফিন সারা বছর সুন্দরবনের নদ-নদীতে অনেক দেখা যায়। আর শুশুক বা গাঙ্গেয় ডলফিন সুন্দরবনের পূর্বাংশে বেশি দেখা যায়। আর একটি ক্ষুদ্র ডলফিন রিভার পরপয়েজ, শুধু বড় নদীগুলোতে থাকে।

তিনি বলেন, তাই ডলফিন রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই আংশ হিসেবে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের অধীন ডলফিন অভয়ারণ্যে ‘মাছ ধরা নিষেধ’ ও ‘ডলফিন অভয়ারণ্য’ লেখা সম্বলিত লাল ফ্ল্যাগ লাগানো হয়েছে। ফ্ল্যাগগুলো স্থাপন করায় জেলেরা অভয়ারণ্যে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবে। আমরাও জোর দিয়ে তাদেরকে অভয়ারণ্যে মাছ না ধরতে কড়াভাবে নিষেধ করতে পারব এবং আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারব।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।