দেশে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ কার্যকর হওয়ার পর শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এ আইনে করা প্রথম মামলার রায় ঘোষণা ও বাস্তবায়ন হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রায়ের ভিত্তিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলকারীর কাছ থেকে জমি উদ্ধার করে মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডামুড্যা থানার ওসি হাফিজুর রহমান মানিক।
বাদী ও আদালতের নথি সূত্রে জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলার চরনারায়নপুর এলাকায় সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম হান্নানকে। তবে দীর্ঘদিন তিনি জমির দখল নিতে পারেননি। এ ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি আখতার মাঝি, আব্দুর রশিদ মাঝি ও মিজান মাঝিসহ কয়েকজনকে বিবাদী করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করেন।
আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয় যে, আবেদনকারী আইনিভাবে তপশিলভুক্ত জমির মালিক ও দখলদার। অন্যদিকে বিবাদীরা বেআইনিভাবে ওই জমি দখল করে রেখেছিল। আদালত বিবাদীদের অবৈধ দখল ছাড়ার নির্দেশ দেন। তারা স্বেচ্ছায় না ছাড়লে উচ্ছেদ করে মূল মালিককে দখল বুঝিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
রায় বাস্তবায়নের পর জমির দখল ফিরে পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম হান্নান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ১৯৯০ সালে আমাকে জেলা প্রশাসক এ জমিটি বন্দোবস্ত দেন। কয়েক বছর আমি এখানে চাষাবাদ করি ও ঘর নির্মাণ করি। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ জমিটি দখল করে নেয়। দীর্ঘ ১৩ বছর মামলা চালিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি। অবশেষে নতুন আইনে মামলা করে রায় পেলাম এবং আমার জমি ফেরত পেলাম। এজন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকার ও জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।
ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম বলেন, দেশে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন কার্যকর হওয়ার পর শরীয়তপুর জেলায় এই মামলাটি প্রথম রায় ঘোষণা ও বাস্তবায়নের ঘটনা। আমরা সফলভাবে উচ্ছেদ অভিযান সম্পন্ন করেছি।