সারাদেশ

থানার লুটের অস্ত্র দিয়ে ডাকাতি

থানার লুটের অস্ত্র দিয়ে ডাকাতি


চট্টগ্রাম নগরীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে ডাকাতির ঘটনায় আরিফ হোসেন প্রকাশ মেহেদী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে নগরীর বারিক বিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭.৬৫ এমএম বোরের ইতালিয়ান একটি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের পর বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার আরিফ ডাকাত দালের প্রধান। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বারেক বিল্ডিং এলাকায় ডাকাতদের আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। তখন মো. তারেক, মো. জুয়েল ও জাহেদুল ইসলাম নামের তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আরিফ তখন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া বলেন, সকালে বারিক বিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরিফ হাসান মেহেদী ওরফে পলাশকে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার আস্তানা থেকে আমরা একটি টিপ ছোরা, চায়নিজ কুড়াল, দুটি ছুরি, একটি করে গামছা ও বালিশ এবং চারটি লোহার রড জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার করা হয় ৫০ রাউন্ড কার্তুজও। উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি ডবলমুরিং থানায় বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জমা রাখা একটি অস্ত্র। সেটি ইতালির তৈরি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম; থানা থেকে গত ৫ আগস্ট লুট হয়েছিল। কার্তুজগুলোও থানা থেকে লুট করা।

তিনি বলেন, তাদের মূলহোতা ডাকাত মেহেদী এবং মনির। তারা চট্টগ্রাম শহরে বড় বড় কমার্শিয়াল হাবে ডাকাতি করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আছে পিচ্চি জাহিদ, রাতুল, হানিফ, নুরুন্নবি, শ্রাবণ এবং বদর। ওরা বড় বড় ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করে। তাদের দেহ খুবই স্লিম। তারা রড কেটে ঢুকে যায়। বিভিন্ন জায়গায় এমন কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপও আমরা পেয়েছি। তাদের বড় বড় ডাকাতি টার্গেট থাকে।

ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকেই আরিফ হোসেনের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। তিনি একজন পেশাদার অপরাধী এবং অস্ত্রসহ এলাকায় আতঙ্ক ছড়াত। আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে যে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।