সারাদেশ

থানায় ঘুরে বেড়ান আসামি, পুলিশ বলছে জানি না

থানায় ঘুরে বেড়ান আসামি, পুলিশ বলছে জানি না


সিলেটে বিস্ফোরক মামলার আসামি হয়েও থানার ভেতরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কখনো মিলিত হচ্ছেন চা চক্রে। তারপরও তিনি অধরা। এম এ রশিদ ওরফে আব্দুর রশিদ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের চারাবাই এলাকার বাসিন্দা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তিনি সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন চৌহাট্টা পয়েন্ট এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলায় চালায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সেদিনকার হামলায় আন্দোলনকারীদের অনেকেই আহত হয়েছিলেন।

এ ঘটনায় বর্তমানে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় বসবাসরত হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর কোতোয়ালি মডেল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার শীর্ষ আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আব্দুল মোমেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন, সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমানসহ ৭৭ জন নামোল্লেখ। অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জন আছেন। জেলা যুবলীগ নেতা এম এ রশিদ ওরফে আব্দুর রশিদ ওই মামলার ৪৪ নম্বর আসামি।

জানা গেছে, বিস্ফোরক মামলার আসামি হয়েও শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজার থানায় প্রবেশ করেন এমএ রশিদ ওরফে আব্দুর রশিদ। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ করতে দেখা যায় তাকে। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় জয়নাল উদ্দিন নামে এক সহযোগীসহ বিয়ানীবাজার থানার ডিউটি অফিসারের রুমে তাকে দেখা যায়।

তবে মামলার আসামি হয়েও অবাধে থানায় প্রবেশ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছবেদ আলী বলেন, আমি কিছুই জানি না।

জানতে চাইলে মুঠোফোনে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফ উজ্জামান প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, ‘কে বিস্ফোরক মামলার আসামি? আমি চিনি না ভাই। ছবি থাকলে পাঠান?’

এদিকে, এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত ও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ শাফী মাহমুদ রাসেল মুঠোফোনে জানান, ‘মো. রাজন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।’

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অন্য আরেকটি থানায় যাতায়াত করছেন কীভাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।