নেত্রকোনার পূর্বধলায় ধর্ষণ থেকে বাঁচতে পারভেজ মিয়া নামের এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন কলেজছাত্রী। সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পূর্বধলা সরকারি কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পারভেজ উপজেলার তারাকান্দা এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে পূর্বধলা থানার ওসি নূরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ওই কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই তরুণীর বক্তব্য মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভিডিও বক্তব্যে ওই তরুণী বলেন, জাহিদ মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিকেলে তার সঙ্গে দেখা করতে রাজধলা বিলপাড়ে যাই। এ সময় জাহিদ ফোনে পারভেজকে সেখানে ডেকে নেন। ধর্ষণের ঘটনা অনুমান করতে পেরে দোকান থেকে ব্লেড কিনে ব্যাগে রেখেছিলাম। পরে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে প্রেমিক জাহিদ ও তার বন্ধু পারভেজ জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণচেষ্টা করে। পরে কোনো উপায় না দেখে নিজেকে বাঁচাতে আমার ব্যাগে থাকা ব্লেড দিয়ে পারভেজের পুরুষাঙ্গে আঘাত করেছি। এ ছাড়া আমার কোনো পথ ছিল না।
এ বিষয়ে আহত পারভেজ মিয়ার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। আর ঘটনার পর থেকে জাহিদ মিয়া পলাতক রয়েছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, পারভেজকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পূর্বধলা থানার ওসি নূরুল আলম বলেন, লোকজনের কাছে খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে পায়নি। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।