সারাদেশ

নওগাঁয় ন্যায্যমূল্যের দোকানে মিলছে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস

নওগাঁয় ন্যায্যমূল্যের দোকানে মিলছে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস


পবিত্র রমজান উপলক্ষে নওগাঁয় সুলভ মূল্যে গরুর মাংসসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিনা লাভে বিক্রির ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করেছে জেলা প্রশাসন। ঈদকে ঘিরে কম দামে এই দোকান থেকে গরুর মাংস নিতে সকাল থেকেই স্বল্প আয়ের মানুষদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। গরু জবাইয়ের দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে মাংস।

অনেকেই বলছেন, ঈদ উপলক্ষে একাধিক গরু জবাই করলে স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া ও মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য অনেক উপকার হতো। জেলার ১১টি উপজেলায় চালু হওয়া ন্যায্য মূল্যের এই দোকান থেকে ক্রেতারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সদর উপজেলায় সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার এবং অন্যান্য উপজেলায় শুক্রবার করে এই দোকান থেকে সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি করে গরুর মাংস ৬৪০ টাকা কেজিতে পেয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলার ১১টি উপজেলায় প্রশাসন কর্তৃক ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো বিনা লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। এই দোকানে প্রতি কেজি চিনি ১২৫ টাকা, মুড়ি ৯২ টাকা, চিড়া ভাজা ৯০ টাকা, কাঁচা ৬৮ টাকা, ছোলা ও মসুর ডাল ১০০ টাকা, প্রতি লিটার সরিষার তেল ১৮০ টাকা ও প্রতি হালি ডিম ৪০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। রমজান মাসে যেন প্রতিটি মানুষই তাদের খাবার তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার পণ্য হিসেবে গরুর মাংস রাখতে পারেন সেই জন্য খোলা বাজার থেকে কম দামে স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

রাণীনগর উপজেলার চকমনু গ্রামের ভ্যানচালক হোসেন শেখ জানান, সামনে ঈদুল ফিতর। তাই ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে কম দামে গরুর মাংস নিতে শুক্রবার ভোর বেলা থেকে অপেক্ষা শেষে দুই কেজি মাংস নিলাম। তবে ঈদ উপলক্ষে যদি আরো কয়েকটি গরু জবাই করা হতো তাহলে এই অঞ্চলের অনেক খেটে খাওয়া মানুষরা গরুর মাংস কিনতে পারতো। এতে করে গরীব ও অসহায় মানুষরা ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্তত একবেলা মাংস খেতে পারতো।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল কালবেলাকে জানান, রমজান মাসে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও মধ্যম আয়ের মানুষদের কথা চিন্তা করে ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে এই দোকান থেকে গরুর মাংস বিক্রির ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যেহেতু এই দোকান থেকে প্রতিটি পণ্যই বিনা লাভে বিক্রি করা হয় তাই একাধিক গরু জবাই করা অনেকটাই ব্যয়বহুল। তারপরও ঈদুল ফিতরের আগে আরো গরু জবাই করা যায় কিনা সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এছাড়া রমজান শেষে খোলা পণ্যের দাম বিবেচনা করে আগামীতে ন্যায্য মূল্যের এই দোকান চালু রাখার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।