বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের মেঘনা ও গজারিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসার তিন শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভোর থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
নিহত শিশু আবিদা ইসলাম (৬) উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের কোলচর এলাকার বাদশা দেওয়ানের মেয়ে এবং শান্তিরহাট ফোরকানিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অন্য নিখোঁজ দুজন হলো একই ইউনিয়নের উত্তর দাদপুরচর এলাকার আ. রশীদ দেওয়ানের ছেলে তাহসিন দেওয়ান (৬) এবং শহীদ বিশ্বাসের ছেলে রেজাউল করিম (৭)। উভয় স্থানীয় কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত শিশু আবিদার বড় বোন আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছোট বোন সবসময় আমাদের সঙ্গে গজারিয়া নদীতে গোসল করত। আজ আমাদের অগোচরে একা গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে আমাদের সংবাদ দেয়। ততক্ষণে আমার বোন আর জীবিত নেই।
নিখোঁজ রেজাউল করিমের মা মোসা. রুমানা বেগম জানান, ঘটনার দিন আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা শেষ করে দুপুর ১২টার সময় বাড়িতে আসেন। এ সময় ছেলে আমাকে বলেন মা আমি নদী থেকে গোসল করে এসে ভাত খাবো। তুমি ভাত রেডি করে রাখো। ছেলের জন্য ভাত রেডি করে অপেক্ষায় থাকেন। একপর্যায়ে ছেলের দেরি দেখে মা খুঁজতে বের হন।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. আলী আশরাফ জানান, ৯৯৯-এ নম্বরে কল পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরিশাল ডুবুরিকে অবগত করেন। তার ধারণা, ওই শিশুরা সাঁতার না জানার কারণে পা পিছলে পড়ে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। সেখানে তীব্র স্রোত থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।