নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতংক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের মধ্যে। এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের জের ধরে ব্যাপক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর ও কাকাইলমোড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় খাগকান্দা, কাকাইলমোড়া, নয়নাবাদ ও চম্পকনগর এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর ও কাকরাইলমোড়া গ্রামের বাসিন্দারা দা, ছুরি, টেঁটা বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের ওপর হামলা করে।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হয়। এদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ মঞ্জুর হোসেন, মকবুল ও জসিমসহ ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলার সময় কাকাইলমোড়া ইদ্রিস আলী, মঞ্জুর হোসেন, আবেদ আলীসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। সংঘর্ষের সময় প্রথমে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যর্থ হয়। পরে যৌথবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী জানান, খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর ও কাকাইলমোড়া গ্রামের দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসী মামলা মোকদ্দমা, গ্রাম্যদলাদলি এবং আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনা নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আর এতে নেতৃত্ব দেয় ক্ষমতাসীনরা। বর্তমানে এ দুই গ্রামে মধ্যে ১৫-২০টি মামলা চলমান রয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।