সারাদেশ

নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ মিলল রেললাইনের পাশে

নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ মিলল রেললাইনের পাশে


পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নাহিদ হাসান (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রের নিখোঁজের একদিন পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রেললাইনের ভাঙ্গুড়া পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশন এলাকার রেললাইনের পাশের ঝোপঝাড় থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার বড় বোনের পরীক্ষা উপলক্ষে বোনকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছিলেন। সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। ঐদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তার বাবা।

নিহত নাহিদ হাসান পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার খানপুর এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নাহিদের বড় বোন চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে নাহিদ পরীক্ষার কেন্দ্রে এসেছিলেন। তার বড় বোন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে সাড়ে ১০টার পর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকে। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন নাহিদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা নুর মোহাম্মদ। এরপর শুক্রবার বিকেলের দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পান যে, একটি শিশুর মরদেহ ভাঙ্গুড়া রেললাইনের ধারে পড়ে আছে। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিখোঁজ নাহিদের মরদেহ শনাক্ত করেন।

নিহত নাহিদের পরনে ছিল কালো রঙের প্যান্ট ও সাদাকালো টি-শার্ট। তার কপালে ও পেটের ডানপাশে কালো দাগের দেখা গেছে। এ সময় পরিবারের লোকজনের কান্নায় ওই এলাকাটি ভারী হয়ে ওঠে।

পরিবারের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কেউ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে চলে গেছে। তবে পুলিশের ধারণা, ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হতে পারে।

নিহত নাহিদের চাচা জানান, নাহিদ অত্যন্ত ভালো ছেলে। তার কোনো শত্রু নেই, কিন্তু কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটালো তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। অতিদ্রুত এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবিও জানান তিনি।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দেখতে পাই। মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।