সিলেটে নিজের নিয়োগকর্তা হয়ে বরখাস্ত হলেন ২ শিক্ষক। এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলমের স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়। বিষয়টি তিনি নিজেই কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। বহিষ্কারকৃত শিক্ষকরা হলেন- আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন।
চিঠিতে বলা হয়, সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্বপ্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল ইন-চার্জ (নারী)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য শিক্ষকদেরকে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পদবি হালনাগাদকরণসহ বহুল প্রচারের জন্য সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ প্রচার করেছেন যা খাজাঞ্চিবাড়ী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশন-এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
তার এমন কার্যকলাপ বিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মপরিবেশের জন্য হানিকর ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে আইনের প্রতি অমান্যতার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সিলেটের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের বিধি লঙ্ঘন করায় মো. রোকন উদ্দিন ও আবেদা হককে সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) নুরের জামান কালবেলাকে বলেন, নিজে নিজে নিয়োগ নিয়ে খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রিন্সিপাল ঘোষণা করেছিলেন দুই শিক্ষক। পরে আমার নজরে আসার পর ২ শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা সিলেটের প্রথম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে ১ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে স্কুলের ২ শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্বে নেন নিজ উদ্যোগে।