সারাদেশ

নুরাল পাগলার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন

নুরাল পাগলার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন


রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে দেখতে ভিড় করছেন। জনসাধারণের ভিড় সামলাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আস্তানার সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, শুক্রবারের (৫ সেপ্টেম্বর) হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে নুরাল পাগলার বাড়ি ও তার আস্তানা। আস্তানার সামনে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। সকাল থেকেই ধ্বংসস্তূপ দেখতে ভিড় করছেন শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ। তবে সাংবাদিক ছাড়া অন্যদের ভেতরে প্রবেশে পুলিশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার আস্তানায় উত্তেজিত জনতার হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পাল্টা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। এতে আহত হন দুপক্ষের শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক। নিহতের নাম মো. রাসেল মোল্লা (২৮)। তিনি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব তেনা পঁচা জটু মিস্ত্রিপাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ও গোয়ালন্দের ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।