সারাদেশ

নোয়াখালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

নোয়াখালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ


নোয়াখালী হাতিয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চেয়ারের আঘাতে ৫-৬ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে জাহাজমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জাহাজমারা ইউনিয়ন বিএনপি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এই ঈদ পুনর্মিলনী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিকেলে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল্যাহীল মজিদ নিশানের নেতৃত্বে একটি মিছিল সভাস্থলে আসে। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে মিছিলটি মঞ্চের সামনে আসতে বাধা পায়।

এ সময় নিশানের লোকজন সমাবেশের ভেতর প্রবেশ করতে না পেরে ধাক্কাধাক্কি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু করেন। পরে অনুষ্ঠানস্থলে আগে থেকে বসে থাকা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন রনির সমর্থকরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় চেয়ার মারামারি এবং লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে।

পরে মঞ্চে উপস্থিত প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় পাঁচ ছয় জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেলেও কারো নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। পরে প্রধান অতিথি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে সমাবেশ শেষ করেন।

এদিকে অনুষ্ঠান শেষ করে প্রধান অতিথি চলে যাওয়ার পর বাজারে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে নিরাপদে চলে যান।

এ বিষয়ে লুৎফুল্লাহীল মজিদ নিশান জানান, তার লোকজনকে সভাস্থলে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এটা পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা ছিল। এজন্য তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন রনিকে দায়ী করেন।

আলাউদ্দিন রনি বলেন, সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠান চলছিল। একটি দুষ্কৃতকারী গ্রুপ এই সভাকে বানচাল করার জন্য সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়।

হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।