পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদসহ অধীনস্ত চারটি প্রতিষ্ঠান প্রকৌশল বেইসড হয়ে গেছে। আমি এগুলোকে পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। যা শিক্ষার উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করবে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবান রাজার মাঠে উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজিত সাংগ্রাই উৎসবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধান অতিথি মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পানি ছিটিয়ে উদ্বোধন করেন। এ সময় বান্দরবান জলো পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রনি, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইতালিয়ান, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে ইইউই অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার, মিজ ক্যাটেরিনা মিলার, ইতালিয়ার নাগরিক আন্তেনিও আলেসান্দ্রো ও পাওয়া বেফিওর এবং ডাচ আইনজীবী এন্ড্রে কার্স্টেন্স সাংগ্রাই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন তো সবাই করে। এখানে এলজিআরডি, সড়ক ও জনপথসহ অনেকে করে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে। আর বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে অনেক অবকাঠামোও হচ্ছে। এখন আমরা চাই মন্ত্রণালয়ের এই চারটি সংগঠন আমাদেরকে শিক্ষা দিবে। ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করবে এবং পরিবেশ ঠিক করতে কাজ করবে।
এর আগে, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধি দল শুক্রবার বান্দরবান জেলা পরিদর্শনে যান। প্রতিনিধি দল বান্দরবানে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলে টানা সাত দিন। উৎসবজুড়ে ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন, নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির বহুমাত্রিক বার্তা। মারমা সম্প্রদায়ের এ ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি শুধু আনন্দ ও উদযাপনের নয়, বরং এটি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও সংস্কৃতির মিলনের এক অনন্য নিদর্শন।