গাজীপুরের টঙ্গীর কেরানীরটেক এলাকায় পুলিশের অভিযানের সময় নাটকীয় এক ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ছিনতাই মামলার আসামি হৃদয়কে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যান তার সহযোগী শান্ত নামের এক যুবক।
পালানোর সময় তার হাতেই ছিল পুলিশের দেওয়া হাতকড়া। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাতকড়া উদ্ধার হলেও যুবকটি অধরাই রয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের এএসআই সাকিল ও এসআই মেহেদী হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুখ্যাত মাদক ও অপরাধপ্রবণ কেরানীরটেক বস্তিতে প্রবেশ করেন। তারা একাধিক ছিনতাই মামলার আসামি হৃদয় ও তার সহযোগী শান্তকে আটক করে হাতকড়া পড়ানো হয়। এ সময় বস্তির মাদক কারবারি ও তাদের সহযোগীরা পুলিশকে ঘিরে হৈচৈ শুরু করলে সুযোগে শান্ত জানালা দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়।
শান্ত ওই বস্তির মৃত আলা মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আসামি হৃদয়কে থানায় নিয়ে আসে। তবে পালিয়ে যাওয়া শান্তকে ১০ মিনিটের মধ্যে ফেরত দেওয়ার জন্য স্থানীয় অপরাধীদের কড়া হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ। পরে বস্তিবাসীরা পুলিশকে খবর দিয়ে হাতকড়া ফেরত দিলেও পালিয়ে যাওয়া শান্তকে আর পাওয়া যায়নি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এসআই মেহেদী হাসান কালবেলাকে বলেন, ‘কুখ্যাত ছিনতাইকারী হৃদয়কে গ্রেপ্তারের সময় তার সঙ্গে থাকা শান্তকেও সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছিল। দুজনকেই হাতকড়া পরানোর পর স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে আমরা বাড়তি ফোর্স নিয়ে হৃদয়কে থানায় নিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা আমাদের খবর দিলে হাতকড়া উদ্ধার করি। পালিয়ে যাওয়া শান্ত কোনো মামলার এজহারভুক্ত আসামি নয়।’
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আসামি হৃদয় বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া শান্তকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।’
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের ধারণা, স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও চক্রবাজরাই শান্তকে পালাতে সহায়তা করেছে।