ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিখোঁজের এক দিন পর শ্রমিক দল নেতা জসিম উদ্দিনের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ভালুকা উপজেলা চান্দরহাটি সুতিয়া নদীর বাইদ্যাবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জসিম উদ্দিন মড়ল মশাখালী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে শনিবার দুপুরে গফরগাঁওয়ে মশাখালী মুখী ব্রীজ ঘাট এলাকায় পুলিশ দেখে সুতিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন জসিম উদ্দিন। মুখী গ্রামের মৃত হাশেম মড়লের ছেলে তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নের মুখী নদীরপাড় ব্রীজ ঘাট এলাকার লিটন সূত্রধরের মেয়ে অপহৃত কলেজছাত্রী সুবর্ণা সূত্রধরের ঘটনার তদন্তে যান পাগলা থানা পুলিশ। এ সময় সাবেক শ্রমিকদল নেতা জসিম উদ্দিন, ফাহিম মিয়া ও ভালুকার মাহমুদপুর গ্রামে সোহেল মুখী ব্রীজঘাট এলাকায় বসে মাদক সেবন করছিলেন। হঠাৎ পুলিশ দেখে দৌঁড়ে তারা তিনজন সুতিয়া নদীতে ঝাঁপ দেন। ফাহিম ও সোহেল সাঁতার কেটে নদী থেকে উঠে আসতে পারলেও জসিম উদ্দিন নিখোঁজ হন।
পাগলা থানার এসআই আব্দুল মোতালেব বলেন, মুখী গ্রামের লিটন সূত্রধরের মেয়ে সুবর্ণা সূত্রধরের অপহৃত জিডির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। আমি তাদের কাউকে ধাওয়া বা আটক করতে যাইনি।পরে জানতে পারি কে বা কারা আমাদের দেখে দৌঁড়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং একজন নিখোঁজ হয়।
মশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম চমক ফকির বলেন, নিহত জসিম উদ্দিন মড়ল মশাখালী ইউনিয়নে শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনাস্থলে অভিযানে আসা ভালুকা ফায়ার সার্ভিস অফিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান নিখোঁজ জসিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চত করেছেন।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, নিখোঁজ জসিমের লাশ উদ্ধার হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যক্তির সুরতহাল তৈরি করে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।