সারাদেশ

প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ আহত ১০

প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ আহত ১০


চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী ও বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মঈন উদ্দিন লিটনসহ ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় গোলাম মাওলা নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৯ জুন) রাত ৯টার দিকে বারইয়ারহাট পৌর সদরের কাশবন রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন জোবেদা ফার্মেসির সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে৷ হামলায় আহতদের তাতক্ষণিক নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

হামলায় আহত মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘রোববার রাতে বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মঈন উদ্দিন লিটনসহ আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে কাশবন রেস্টুরেন্টে চা নাশতা খেতে যাই। সেখান থেকে বের হলে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা আমার এবং নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম ও বারইয়ারহাট পৌরসভার বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর অনুসারীরা আমাদের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলা চালায়। আমাদের সফলতা, আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাদের নোংরা হামলায় আমাদের বেশ কজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশকে ফোন দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বারইয়ারহাট বড় বাজার৷ এখানে নিয়মিত আমাদের শত শত নেতাকর্মী অবস্থান করে। কাশবন হোটেলের সামনে আমাদের ছাত্রদল, যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে কটূক্তি করে। সেটি বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। তারাই প্রথমে হামলা করে। তাদের হামলায় শাফায়েত হোসেন শুভ, শাহীন আলম নিশাত, তানবীর হোসেন, মো. বাদশা, জাহিদুল ইসলামসহ একাধিক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, হামলায় আহত হওয়া চারজনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। মাওলা নামে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটা মনে হয় তাদের দলীয় কোন্দল। খবর পেলে পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নেতাকর্মীরা।





Source link

Shares:
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।