কুমিল্লার বুড়িচংয়ে হামিদ নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হামিদ (২০) ময়নামতির মিরপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল শুক্কুর বলেন, সাত মাস আগে প্রেমের মাধ্যমে পরিবারের অমতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার সাতরা এলাকায় বিয়ে করেন হামিদ। পরে হামিদের পরিবারও বিয়েটি মেনে নেয়। তবে সম্প্রতি তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়।
নিহতের মা শেফালী বেগম বলেন, প্রথম দিকে তাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আমার ছেলের স্ত্রী অন্য ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশায় জড়িয়ে পড়ে। আমার ছেলে তার স্ত্রীর বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে ছবি ও ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ পায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শেষমেশ পাঁচ দিন আগে ছেলের বউ অভিমান করে তার নানার বাড়ি চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, দুদিন আগে স্ত্রীকে আনতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন হামিদকে মারধর করে। এরপর থেকেই সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। আজ সকালে ঘরে ঢুকে দেখি আমার ছেলে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় হামিদ।
হামিদের স্ত্রীর মামা কাউসার আহমেদ ও নানি শিরিনা বেগম দাবি করে বলেন, শ্বশুরবাড়িতে মুসকানকে নির্যাতন করত। যার কারণেই সে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে আমাদের বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। নিহত হামিদকে মারধরের সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়।
বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।