জামালপুরের মেলান্দহে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাশেদুজ্জামান অপু ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘জামালপুর হালচাল’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্নের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার দুরমুটের নিজ বাড়িতে বিএনপি নেতা সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপু মিয়া এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে বিএনপি নেতা সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপু মিয়া, ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান মিয়া বাদল ও অপু মিয়ার ছেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাফায়াত জামান অনিক উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপু সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে হত্যাসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে আমার নামে ১৭টি মামলা দিয়েছিল। আমি তিনবার চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার বাবাও এই দুরমুট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন ২৫ বছর। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আমার জনপ্রিয়তায় দিশেহারা হয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর জেলা আ.লীগের সদস্য খালেকুজ্জামান জুবেরী, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বদিউজ্জামান খান বাদল, জামালপুর জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম চানের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রে ‘জামালপুর হালচাল’ ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে আমার এবং আমার ছেলেসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জুবেরী, বাদল আর চানের অত্যাচারে ১৭ বছর এই দুরমুট ইউনিয়নে কেউ শান্তিতে থাকতে পারেনি। সাধারণ মানুষের জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লুটপাট করে তারা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। ৫ আগস্টের পর তাদের ইন্ধনে, অর্থ সহায়তায় তাদেরই কেউ আমার বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে।
রাশেদুজ্জামান অপু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাইনি, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, আমরা যাতে এমন কোনো কাজে যুক্ত না হই যেখানে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
তিনি বলেন, এই এলাকায় আমাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক ঐতিহ্য এবং সামাজিক মর্যাদা বিদ্যমান। আমাদের পারিবারিক এবং সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন এবং বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিভ্রান্তিকর তথ্য, মিথ্যা তথ্য এবং ক্রমাগত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, মেলান্দহ থানায় জিডি করা হয়েছে। ভুয়া ফেসবুক আইডি ‘জামালপুর হালচাল’ পরিচালক এবং এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।