চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বৃষ্টির পানিতে ব্যাঙ ধরতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণ শিকার ৫ উপজাতি তরুণকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ সময় অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
শনিবার (৩১ জুন) রাত ১২টার দিকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়।
অপহরণের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন- পাইসুইচিং মারমা, মংক্যউ মারমা, উসিংমং মারমা, থুইসামং মারমা ও চসিং মারমা। তারা সবাই চন্দ্রঘোনা থানার আমতলী পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চন্দ্রঘোনা থানার আমতলীপাড়া এলাকা থেকে তারা বৃষ্টির পানিতে ব্যাঙ শিকার করার জন্য বের হয়। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার লালারখীল এলাকা থেকে তাদের ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের জিম্মি করে গহিন পাহাড়ের ভিতরে নিয়ে যায় এবং গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। তাদের একজনের কাছে থাকা মোবাইল দিয়ে শনিবার রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এদিকে পরিবারের কাছে বিষয়টা মৌখিক অভিযোগ পেয়েই দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং তাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান শুরু করেন তারা। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। একপর্যায়ে মোবাইল ট্রেকিং করে ভুক্তভোগীদের অবস্থান শনাক্ত করে পদুয়া ইউনিয়নের নারিশ্চা রাস্তা হয়ে বড়খোলা মগপাড়া এলাকায় অভিযান করা হয়। অতঃপর মহিষেরবাম এলাকার ত্রিপুরা সুন্দরী চিকনছড়া পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। পরে মহিষেরবাম এলাকার গহিন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ৫ জন ভিকটিকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।